মো: হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অযৌক্তিক ফরম ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের (২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এবং অধ্যক্ষের মাধ্যমে উপাচার্চ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন শেষে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় তারা অভিযোগ করেন, হঠাৎ ফি বৃদ্ধি সাধারণ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব করে তুলেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বের নির্ধারিত ফির তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। পূর্ণপত্র ২৫০ টাকার জায়গায় ৩৫০ টাকা, অর্ধপত্র ২০০ টাকার জায়গায় ২৫০ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৫০ টাকা, ইনকোর্স ফি ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা, কেন্দ্র ফি তত্ত্বীয় ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা, ব্যবহারিক কেন্দ্র ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকা, বিশেষ অন্তর্ভুক্তি ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা।
এছাড়া, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মোট ফি ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার এবং সি প্রমোটেড শিক্ষার্থীদের ফি ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, শিক্ষার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, সাকিব রহমান, মুরাদ হোসেন, আশারাফি রিম, সজীব আহমেদ অনিক, রাহাত পারভেজ, মো. রায়হান মন্ডল, ইয়াছিন ইসলাম, মো. সাকিব কাজী, ফরহাদ হোসেন, মো. পারভেজ ইসলাম, নুরে জান্নাত, নুসরাত জাহান, ফারহানা আক্তার মিমি, মেহেনাজ আক্তার, রুকাইয়া আক্তার বর্ষা, মো. নাজিম মন্ডল, মনিরুজ্জামান শুভ, মো. আরিফুল, গোলাম মোস্তফা, মৌমিতা রায়, নমিতা শীল, মাগফেরাতুজ জান্নাত মিম প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে।”
তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি না মানা হলে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অন্যায় সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।